নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত খসড়া আইন সংসদে উত্থাপনকালে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘উনারা (বিএনপি) এই আইন না পড়েই মন্তব্য করছেন। উনারা মনে করেছিলেন এই আইনটি একটি পলিটিক্যাল ইস্যু। আইনটি নিয়ে উনারা এখন বলেন এইটা নাই, ওইটা আছে; এসব নাচ-গান শুরু করে দিয়েছেন।’
আজ সংসদে বিলটি উঠানোর জন্য আইনমন্ত্রী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি চাইলে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ খসড়া আইনটিকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করেন। এর জবাবে আইনমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে মর্মে আশা করা যায়।
এরপর বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আইন, বিচার ও সংসদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।